Posts

Showing posts from 2019

ধর্ষণের প্রকৃত কারন

Image
ধর্ষণ কেন হয়  ? ধর্ষণ করার মূল কারন কি  ? ধর্ষণের প্রবণতা কেন বেড়ে গেছে? ধর্ষণ সম্পর্কিত নানান প্রশ্ন মানুষের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে কিন্তু সত্যিকার অর্থে এর প্রকৃত কারন কি করে খুঁজে পাওয়া গেছে?    ধর্ষণের প্রকৃত কারন অনুসন্ধানঃ

ধর্ষণের শীর্ষ ১০ আনুমানিক কারন

Image
যে কোন সমস্যা সমাধান করার প্রথম এবং প্রধান শর্ত সমস্যার মূল বা শেকড় বা আসল কারন খুঁজে বের করা। কোন একটা সমস্যা এক বা আকাধিক কারনে তৈরি হতে পারে  , তবে কারন যতগুলোই হোক । আমাদের প্রথম কর্তব্য হবে সমস্যার সম্ভাব্য সব কারন খুঁজে বের করা এবং সেই অনুযায়ী সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা নেয়া। ইদানীং বেড়ে যাওয়া ধর্ষণ সমস্যার আনুমানিক শীর্ষ ১০ কারন নিয়ে আমরা আলোচনা করবো। ধর্ষণের প্রকৃত কারন নির্ণয়ের  জন্য সমাজবিজ্ঞানীদের উপরই ছেড়ে দেয়া হোক।  ১। অন্ধভাবে সেলিব্রিটি এবং নেতাদের অনুসরনঃ আমরা সাধারন মানুষ লিডার এবং সেলিব্রিতিদের অনুসর এবং অনুকরন করতে ভালবাসি।  ক্ষমতা, চাকচিক্য, টাকা, জনপ্রিয়তা  ,    সফলতা ইত্যাদি নানান কারনেই তাদের প্রতি আমাদের এই ভালবাসা । পোকা-মাকড়ের মত,  মানুষও আলোক বর্তিকার দিকে আকৃষ্ট হবে এইটাই স্বাভাবিক। ইদানিং  নেতা এবং সেলিব্রিটিদের   ; পরনারী  –  পর পুরুষের প্রতি আকর্ষণ  , ডিভোর্স,   ধর্ষণ  , অশ্লীল ভিডিও ফাঁস ইত্যাদি নানান যৌনকেলেঙ্কারির কথা  খুব বেশি শোনা যায়। এছাড়াও তাদের  সঙ্গী বা সঙ্গিনী বদলানোর বিষয়গুলো খুব ফলাও করে প্রচার করা হয় মিডিয়াই। একবার চিন্তা কর

যেভাবে সমস্যা সমাধানে বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠবেন

Image
সৃষ্টিকর্তা সমস্যা সৃষ্টি করেছেন আমাদের সম্ভাবনা যাচাই করার জন্য। ছোট সমস্যার সমাধান করতে পারলে,  আমরা বড় ধরনের সমস্যা সমাধান করার যোগ্যতা লাভ করি। যত বড় মানুষ তত বড় সমস্যা সমাধানের সে যোগ্যতা লাভ করে। বড় মাপের মানুষগুলো  সমস্যাকে কোন সময়েই বাঁধা হিসেবে নয় বরং সম্ভাবনা হিসেবে বিবেচনা করে। বড় পুরস্কারের প্রথম দরজা হচ্ছে বড় সমস্যার সমাধান বের করা। মূল্যবান বস্তুর অধিকারী হওয়ার প্রথম ধাপ হচ্ছে সমস্যার কার্যকর সমাধান বা ফর্মুলা খুঁজে বের করা।  " The more uncomfortable the answer, the more likely it is to be true."                                                                                            ------ Mark Manson তবে জ্ঞানের স্বল্পতা  আপনার ভেতরে তৈরি করতে পারে  উদ্বেগ এবং উৎকণ্ঠা! কোথায় প্রয়োজনীয় জ্ঞান খুঁজে পাওয়া যাবে এটা না জানলে,  আপনি  অসহায় এবং বিষণ্ণ অনুভব করবেন।   বর্তমানে আপনার যে জ্ঞান আছে তার উপর সন্দেহ থাকলে বা অবিশ্বাস করলে আপনি উৎসাহহীনতা এবং নির্বিকার  বোধ করবেন। জানলেন, বিশ্বাস করলেন  , কিন্তু সেগুলো ব্যবহার করার মত প্রয়োজনীয়  সময় বে

সব সমস্যা সমাধান ফরম্যাট

Image
গতকাল আমি বুদ্ধিমান ছিলাম, তাই পৃথিবীকে বদলে ফেলতে চেয়েছিলাম কিন্তু আজ আমি জ্ঞানী, তাই নিজেকে বদলে ফেলতে চায়।                          -----------------মাওলানা জালালউদ্দিন মোহাম্মদ রুমি পৃথিবীতে যত সব  মহাপুরুষ আছে, ধনবান আছে, জ্ঞানীগুণী বিজ্ঞানি আছে, সফল যত লেখক আছে  , যাবতীয় বিষয়ে শীর্ষ স্থান অধিকার করে আছে তাদের সবার মধ্যে একটি বিষয়ে প্রচণ্ড মিল তা হল তারা সবাই গুছিয়ে চিন্তা করতে এবং সমস্যা সমাধান  করতে দক্ষ ছিলেন। আজ আমরা শিখবো সমস্যা সমাধান করতে কিভাবে গুছিয়ে চিন্তা করতে হয়।  

ধর্ষণ সমস্যার সমাধান

Image
যারা ধর্ষণ করে তারা অপরাধী। এই অপরাধের শাস্তি তাকে পেতে হবে। অন্য একটা মানুষের অধিকার হরনের কারনে তার এই শাস্তি!  অন্য একটা নিরিহ মানুষের ইচ্ছা  , চাওয়া   , পাওয়াকে পিষে মারার জন্য তার শাস্তি । সমাজের, রাষ্ট্রের  শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য তার  শাস্তি! সুস্থ পারিবারিক বন্ধনের ভিত্তিমূলে আঘাত করার জন্য তাকে শাস্তি পেতেই হবে।      পুরুষবাদি  , নারিবাদি, দল, মত  , ধর্ম, প্রগতিশীল  , মুক্তমনা  কোন মতবাদের আড়ালে যেন ধর্ষক আশ্রয় প্রশ্রয়  না পায়, সেইদিকে সবার নজর দিতে হবে।   আমাদের দ্বিধাবিভক্তির সুযোগে অপরাধী যেন কোনরূপ  সুযোগ পেয়ে না যায়, সেইদিকে সবার সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। সবার কাছে আমার প্রশ্ন -  সব বিষয়ে আমাদের দ্বিধাবিভক্ত হওয়ার, সত্যি  কোন  প্রয়োজন আছে কি?    ধর্ষণ কোন একটি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ঘটে না। একটি ধর্ষণ সংঘটিত হওয়ার পেছনে অনেকগুলো অনুঘটক কাজ করে। ধর্ষকের শাস্তি দেয়ার পাশাপাশি  , ধর্ষণের সেইসব অনুঘটক গুলোকে মেরামত করাও ধর্ষককে শাস্তি দেয়ার মতই জরুরী। আসুন খুঁজে দেখি কি কি উপায় অবলম্বন করলে  , ধর্ষণের লাগামহীন  প্রবণতাকে কমানো সম্ভব হবে।   

নেশার ফাঁদ থেকে মুক্তির আধ্যাত্মিক চিকিৎসা

Image
"You'll never know a thing without learning it from someone else." ----- Unknown  যে কোন প্রকার সমস্যা অথবা ফাঁদ থেকে বের হয়ে আসার উপাই হচ্ছে সেই ফাঁদটিকে বিশ্লেষণ করা, জানা এবং  বোঝা। ভেতর এবং বাইরে থেকে যে কোন সমস্যার কারন ধরতে পারলে, এর থেকে বের হওয়া সহজ হয়। মাদক যেহেতু শরীর, মন,  আত্মাকে একই সাথে আক্রমণ করে এবং অন্ধকারের  কালো চাদরে আচ্ছন্ন করে রাখে।  তাই নেশার অন্ধকার  থেকে   মুক্ত হতে   একটি আত্মিক বা আধ্যাত্মিক আলোর  দরকার পড়ে। মাদকের কবল থেকে সাময়িক মুক্তি যে কোন ভাবে সম্ভব তবে     স্থায়ীভাবে  মুক্ত হতে হলে  আত্মার বা আধ্যাত্মিকতার পথের কোন বিকল্প নাই।  কারন আধ্যাত্মিকতার  পথ হচ্ছে -  আলোর পথ, চীরতরে নেশার জগতকে বিদায় জানানোর পথ,  সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘজীবনের পথ।  এখানে নেশার ফাঁদ থেকে মুক্তি পাওয়ার কিছু আধ্যাত্মিক চিকিৎসার কথা বলবো, যেগুলো   প্রয়োগ করে ইতিহাসে হাজার হাজার মানুষ মুক্তি পেয়েছে এবং আমি নিজে  নেশার কবল থেকে মুক্ত হতে পেরেছি;  আশাকরি আপনিও পারবেন । বরাবরের মত এবারও আমরা একটা সমস্যাকে সমাধানের জন্য তিন দিক থেকে আক্রমণ করবো  –  শরীর মন এবং আত্মা

মাদক, ড্রাগ, নেশা- সর্বনাশা

Image
মাদকের ক্ষয়ক্ষতিঃ  মাদক মানুষের যেসব ক্ষতি করে সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় ক্ষতি হচ্ছে,   নিজেকেই নিজের শত্রু হিসেবে দাঁড় করিয়ে দেয়। শরীর মন আত্মার মধ্যে দূরত্বের সৃষ্টি করে দেয়। তাদের চিন্তা  , কথা,  কাজের মধ্যে কোন মিল থাকে না। নিজেকে ভুলে যায়, নিজের যত্ন নিতে ভুলে যায়। জীবিত থাকতে থাকতেই দ্রুত আজ্রাইলকে ডেকে নিয়ে চলে আসে।   ছবি:১  দেখুন কত দ্রুত নেশা মানুষকে চুষে নিঃশেষ করে দেয়।

মাদকের নেশা - কি খায়, কেন খায়?

আলোচ্য বিষয়টি পাঠ করার পর জানতে পারবেন ২। কেন মানুষ নেশা দ্রব্যের প্রতি আকৃষ্ট হয় ৩। নেশা দ্রব্যের সাথে প্রেমভালবাসার সম্পর্ক মানুষের শরীর যেমন শত শত মৌলিক এবং যৌগিক  রাসায়নিক পদার্থের সমন্বয়ে  গঠিত। তেমনি সিগারেট   , মদ   , ফেন্সিডিল , হেরোইন   , ইয়াবা ইত্যাদি সব মাদকদ্রব্যগুলোও রাসায়নিক পদার্থের সমন্বয়ে গঠিত। দেহের রাসায়নিক পদার্থের সাথে যখন মাদকের রাসায়নিক দ্রব্যের  বিক্রিয়া হয় তখন দেহের নাজুক কোষগুলো মরে যায়, কিছু আধামরা হয়ে যায় । কোষের ভেতরে এই ধ্বংস যজ্ঞ হয়  তখন আমাদের ব্রেনের ভেতর সবকিছু ঘোলাটে হয়ে যায়  , বাড়ী ধ্বসে পড়লে যেমন চারপাশ  ধুলোর ঢেকে যায় তেমনি মাথার মধ্যেও এইরকম ধোঁয়াশা তৈরি হয়, চিন্তা এবং চেতনা আবছা হয়ে যায়, এই অবস্থাকেই মাতাল অবস্থা বলে । মানুষ এই অবস্থাকে নাম দেয় ফিলিংস। মাতলামো বা ফিলিংস করার বিষয়টা অনেকটা এইরকম- আপনার ঘরে আগুন লেগেছে সবকিছু পুড়ে ছায় হয়ে যাচ্ছে  , ধোঁয়ায় চারপাশ অন্ধকার হয়ে যাচ্ছে আর আপনি কিছু দেখতে পাচ্ছেন না বলে মজা পাচ্ছেন  , পোড়া গন্ধ নাকে আসছে বলে আপনার খুব হাঁসি পাচ্ছে! মাদক শুধু আপনার ঘরেই আগুন দেয় না  ,   এই উচ্চ ক্ষমতা সম্

ডায়াবেটিকস, একটি আধ্যাত্মিক পর্যালোচনা

ডায়াবেটিকস, একটি  আধ্যাত্মিক পর্যালোচনা ' আপন হতে বাহির হয়ে বাইরে দাঁড়া , বুকের মাঝে   বিশ্বলোকের পাবি সাড়া ' --------------- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ডায়াবেটিক এর সাথে বসবাস করা কঠিন কাজ। প্রথম যখন আপনার ডায়াবেটিকস ধরা পড়ে, তখনকার কথা মনে আছে। নিয়ম করে   ঔষধ খাওয়া, মিষ্টি জাতীয় খাবার খেয়ে ফেলা, হাঁটাতে আলসেমি করা ইত্যাদি সবকিছু অনেক কঠিন বলে মনে হয়েছিল। কিন্তু একটা সময় পর এইসব কঠিন কাজগুলোই জীবনের অংশ হয়ে গেছে । এখন আর ডাক্তারকে বলা লাগে না,   কি করতে হবে;   আর কি করা যাবে   না।   নিজের শরীরটাই বিভিন্ন ভাবে বুঝিয়ে দেয় নিয়ম মেনে চলবা তো ভাল থাকবা, পরিশ্রম করবা তো সুস্থ থাকবা। নিয়ম মেনে ভাল থাকো   নইলে দরজার কাছে কঠিন কঠিন সব রোগগুলো তোমার শরীরে বাসা বাধার জন্য অপেক্ষা করছে।   এখন তুমিই বেছে নাও  , শৃঙ্খলা মেনে সুস্থ সবল ভাবে বেঁচে থাকবা, নাকি আলসেমিতে গা ভাসিয়ে দিয়ে ধুঁকে ধুঁকে মারা যাবা। সচেতন মানুষ কঠিন শৃঙ্খলার পথটাই বেছে নেয়  , বেঁচে থাকার জন্য, শান্তিতে থাকার জন্য। বেঁচে থাকার মত সুখ তো আর কোন কিছুতে নাই। মরে গেলেই তো সব শেষ । মরার চেয়ে আরও বেশি ভারি, অন্ধ  –  অক্ষ

কেন ডায়াবেটিকস মহামারীর রুপ নিল

কেন ডায়াবেটিকস হয়? কেন এখন প্রতিটি বাড়ীতে ডায়াবেটিকস রোগী দেখতে পাওয়া যায়? মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া এই রোগটি মানব সভ্যতাকে কি বার্তা দিতে চাচ্ছে?   এখন সারা পৃথিবীতে প্রতি ১১ জনে ১ জন ডায়াবেটিকস এ আক্রান্ত । খুব কম বাড়ী খুঁজে পাওয়া যাবে যে বাড়ীতে একজন ডায়াবেটিকস রোগী নাই। মনে প্রশ্ন জাগে হটাৎ করে কেন   ডায়াবেটিকস সারা পৃথিবীতে মহামারির আকার ধারন   করলো? একটু পর্যবেক্ষণ করলেই দেখবেন  , পৃথিবীর ইতিহাসে মানুষ এত আরাম আয়েশ কখনই উপভোগ করেনি। এখন একটা   সুইচ চাপ দিলেই মুহূর্তে হাতের নাগালে সব কিছু চলে আসে। ঠাণ্ডা চাইলে ঠাণ্ডা গরম চাইলে গরম, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাতাস ইচ্ছেমত পাওয়া যায়। অন্ধকার ঘর মুহূর্তে ঝলমলে আলোকিত হয়ে যায়।   আগের যুগের ১ বছরের পথ,   এখন ১ দিনে   অতিক্রম করা যায়।

ডায়াবেটিকস হওয়ার উপকারিতা

Image
“Just open your eyes and remove the sadness. There is a blessing in everything, waiting to be set free by your faith.” --- Unknown   ডায়াবেটিকস নামটা শুনলেই অজানা এক আতংক মনকে আচ্ছন্ন করে । কিন্তু আমরা জানি পৃথিবীর কোন কিছুই সম্পূর্ণ ক্ষতিকর কিংবা সম্পূর্ণ উপকারি নয়। সবকিছুর ভেতরেই ভাল এবং মন্দ ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকে। আমরা সাধারন ভাবে সেই বিষয়গুলোই গ্রহন করি যেগুলোর ভাল দিক গুলো বেশি । এবং সেই বিষয় গুলো এড়িয়ে চলি যেগুলোর মন্দ দিক  বেশি। ডায়াবেটিকস এরও ভাল এবং মন্দ দিক আছে । যদিও  ডায়াবেটিকসকে কেউ নিমন্ত্রন করে নিয়ে আসে না  , ডায়াবেটিকস চলে আসে জিনগত বৈশিষ্ট্য এবং জীবন-যাপনের ভুল পদ্ধতির কারনে । তাই ডায়াবেটিকসে একবার আক্রান্ত হয়ে গেলে একে সহ্য করে নিতে হয়  , একে মোকাবেলার জ্ঞান অর্জন করতে হয়, আমৃত্যু এর সাথে বসবাস করতে হয়! তাই ডায়াবেটিকস এর উপকারিতাগুলোকে খুঁজে বের করতে পারলে  , এর সাথে জীবনযাপন করা অনেক সহজ হয়। আমরা এখানে ডায়াবেটিকস এর উপকারি দিকগুলো খুঁজে বেরকরার চেষ্টা করেছি। আশা করি  এই তথ্যগুলো জানার পর ডায়াবেটিকস এর সাথে বসবাস করা অনেক সহজ হয়ে যাবে।

আত্মার ভেতর এবং বাইরের রহস্য

Image
আত্মা কি? আত্মার কাজ কি? আত্মাকে অস্বীকার করে কি বেঁচে থাকা যায়?   শরীরের    যে অংশে    স্বপ্ন এবং ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে তথ্য নিয়ে আসে    তাকেই আত্মা বলে। আত্মার কাজই হচ্ছে যা কিছু অদৃশ্য আছে তাকে দৃশ্যমান জগতে নিয়ে আসা এবং ভারসাম্য রক্ষা করতে সাহায্য করা।  পৃথিবীতে নতুন জ্ঞান যুক্ত করা এবং পুরানো জ্ঞানের জঞ্জাল মুক্ত করার কাজ করে আত্মা। পৃথিবীতে ভারসাম্য সৃষ্টিতে দিনরাত অবিরাম কাজ করে যায় আত্মা। শরীর মন এক সময় বিশ্রাম নেয়,    ঘুমিয়ে পড়ে । আত্মা ঘুমায় না  , বরং শরীর ঘুমিয়ে পড়লে আত্মা শরীর ছেড়ে বাইরে বের হয়ে আসে।  তার কাজের পরিধি শরীর ছাড়িয়ে পৃথিবীময় বিস্তৃত। 

মনের ভেতর এবং বাইরের রহস্য

Image
মন কি? মন কিভাবে কাজ করে? মনের কি আলাদা কোন  অস্তিত্ব আছে? মনঃ পঞ্চ    ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যকে যে সত্তা বিচার বিশ্লেষণ করে নতুন তথ্য তৈরি করে।    ক্ষমতা প্রদান করে, তথ্য    বড় করে অথবা ছোট করে, নানা রঙে রাঙিয়ে তোলে  , গতি দেয় অথবা পেছনে টেনে ধরে, গ্রহন অথবা বর্জন করে তাকেই মন বলে  ।   দুধ, চিনি, পানি এই তিনটি জিনিস ব্যবহার করেই হাজারো রকম মিষ্টি তৈরি করে। তেমনি চোখ, কান  , নাক, জিহ্বা  , চামড়ার মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য দিয়েই মন    হাজার  , লক্ষ, কোটি কোটি জিনিস বানায় ।  পৃথিবীতে মানুষের  তৈরি যা কিছু আছে তার প্রত্যেকটি প্রথমে মনের ভেতরে তৈরি হয়েছে তারপর বাস্তব দুনিয়াই এসেছে। মনের গবেষণাগারে যেমন বস্তু তৈরি হয় তেমনি আমাদের দুনিয়াকে সুন্দর, মধুময়, প্রশান্তিময় করার জন্য আবেগ তৈরি হয়। শুধু যুক্তি দিয়ে কিংবা যুক্তির উপর ভর করে পৃথিবী তৈরি হলে দুনিয়া এতো সুন্দর হত না, আবেগই পৃথিবীকে সুন্দর করে  , পৃথিবীতে দৃশ্যমান সমস্ত আবেগ মনের ভেতরে সৃষ্টি হয়েছে।