আত্মা কি? আত্মার কাজ কি? আত্মাকে অস্বীকার করে কি বেঁচে থাকা যায়? শরীরের যে অংশে স্বপ্ন এবং ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে তথ্য নিয়ে আসে তাকেই আত্মা বলে। আত্মার কাজই হচ্ছে যা কিছু অদৃশ্য আছে তাকে দৃশ্যমান জগতে নিয়ে আসা এবং ভারসাম্য রক্ষা করতে সাহায্য করা। পৃথিবীতে নতুন জ্ঞান যুক্ত করা এবং পুরানো জ্ঞানের জঞ্জাল মুক্ত করার কাজ করে আত্মা। পৃথিবীতে ভারসাম্য সৃষ্টিতে দিনরাত অবিরাম কাজ করে যায় আত্মা। শরীর মন এক সময় বিশ্রাম নেয়, ঘুমিয়ে পড়ে । আত্মা ঘুমায় না , বরং শরীর ঘুমিয়ে পড়লে আত্মা শরীর ছেড়ে বাইরে বের হয়ে আসে। তার কাজের পরিধি শরীর ছাড়িয়ে পৃথিবীময় বিস্তৃত।
আমি কে? আমি মানে কি? আমার শরীর , মন , নাকি আত্মা? প্রকৃত আমির অস্তিত্ব কোথায় ? শরীর মন আত্মার নামটা শুনেই বুঝতে পারছেন এগুলো আমাদের কত পরিচিত শব্দ! আমরা সবাই একটি করে শরীর মন এবং আত্মার অধিকারী। আপনি নাস্তিকও যদি হয়ে থাকেন তাহলে আমি নিশ্চিত শরীর , মন এবং আত্মার আলোচনায় আপনি এমন কিছু তথ্য, জ্ঞান খুঁজে পাবেন যা আপনাকে নতুনভাবে ভাবতে সেখাবে। আপনারা দেখতে পাবেন আমাদের জানা জগতের মাঝে কত অচেনা তথ্য বা জ্ঞান লুকিয়ে আছে! সেই সব অজানা কিছু বিষয় নিয়েই আমরা আলোচনা করবো শরীর, মন আত্মা বিষয়ক সিরিজ আলোচনায়। তবে এখানে শুধু শরীর বিষয়ে কথা বলব- পর্যায়ক্রমে মন এবং আত্মা নিয়ে আলোচনা করবো!
ছবি ঃ শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর নিষিক্ত জাইগোট থেকে পূর্ণ বাচ্চা এই লেখাটির শেষ পর্যন্ত পড়লে যে তথ্যগুলো আপনার কাছে স্পষ্ট হবে ১। শরীর মন আত্মা কি ? তাদের অস্তিত্বের সূচনা । ২। শরীর-মন-আত্মা কি কি ভাবে একটার থেকে আর একটা আলাদা ? ৩। শরীর – মন- আত্মা সম্পর্কিত জ্ঞান লাভের প্রয়জনিয়তা এবং উপকারিতা পরিবেশ , সময় এবং সামাজিক নানান প্রথার শর্ত মেনে কোন এক শুভ ক্ষণে আপনার, আমার এবং অন্য সকলের জন্মের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়েছিল এই পৃথিবীতে । ডিম্বাণু নিষিক্ত হওয়ার ৪০ দিনের মাথায় আত্মা এসে যখন শরীরে প্রবেশ করেছিল, তখনই শুরু হয়েছিল হৃৎপিণ্ডের ডুব-ডাব শব্দ । প্রথমবারের মত টের পেয়েছিলাম আত্মা আর শরীরের অস্তিত্ব। এর পরে পৃথিবীতে এসে কান্নার মাধ্যমে দেখা পেয়েছিলাম মনের । অর্থাৎ পৃথিবীতে আসার সিরিয়াল ছিল আত্মা – শরীর – মন । দুনিয়াক থেকে বিদায় নেয়ার সময়ও সিরিয়াল হবে আত্মা-শরীর-মন। তবে স্বভাবতই পৃথিবী...
Comments
Post a Comment