আত্মা কি? আত্মার কাজ কি? আত্মাকে অস্বীকার করে কি বেঁচে থাকা যায়? শরীরের যে অংশে স্বপ্ন এবং ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে তথ্য নিয়ে আসে তাকেই আত্মা বলে। আত্মার কাজই হচ্ছে যা কিছু অদৃশ্য আছে তাকে দৃশ্যমান জগতে নিয়ে আসা এবং ভারসাম্য রক্ষা করতে সাহায্য করা। পৃথিবীতে নতুন জ্ঞান যুক্ত করা এবং পুরানো জ্ঞানের জঞ্জাল মুক্ত করার কাজ করে আত্মা। পৃথিবীতে ভারসাম্য সৃষ্টিতে দিনরাত অবিরাম কাজ করে যায় আত্মা। শরীর মন এক সময় বিশ্রাম নেয়, ঘুমিয়ে পড়ে । আত্মা ঘুমায় না , বরং শরীর ঘুমিয়ে পড়লে আত্মা শরীর ছেড়ে বাইরে বের হয়ে আসে। তার কাজের পরিধি শরীর ছাড়িয়ে পৃথিবীময় বিস্তৃত।
মন কি? মন কিভাবে কাজ করে? মনের কি আলাদা কোন অস্তিত্ব আছে? মনঃ পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যকে যে সত্তা বিচার বিশ্লেষণ করে নতুন তথ্য তৈরি করে। ক্ষমতা প্রদান করে, তথ্য বড় করে অথবা ছোট করে, নানা রঙে রাঙিয়ে তোলে , গতি দেয় অথবা পেছনে টেনে ধরে, গ্রহন অথবা বর্জন করে তাকেই মন বলে । দুধ, চিনি, পানি এই তিনটি জিনিস ব্যবহার করেই হাজারো রকম মিষ্টি তৈরি করে। তেমনি চোখ, কান , নাক, জিহ্বা , চামড়ার মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য দিয়েই মন হাজার , লক্ষ, কোটি কোটি জিনিস বানায় । পৃথিবীতে মানুষের তৈরি যা কিছু আছে তার প্রত্যেকটি প্রথমে মনের ভেতরে তৈরি হয়েছে তারপর বাস্তব দুনিয়াই এসেছে। মনের গবেষণাগারে যেমন বস্তু তৈরি হয় তেমনি আমাদের দুনিয়াকে সুন্দর, মধুময়, প্রশান্তিময় করার জন্য আবেগ তৈরি হয়। শুধু যুক্তি দিয়ে কিংবা যুক্তির উপর ভর করে পৃথিবী তৈরি হলে দুনিয়া এতো সুন্দর হত না, আবেগই পৃথিবীকে সুন্দর করে , পৃথিবীতে দৃশ্যমান সমস্ত আবেগ মনের ভেতরে সৃষ্টি হয়েছে।
ছবি ঃ শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর নিষিক্ত জাইগোট থেকে পূর্ণ বাচ্চা এই লেখাটির শেষ পর্যন্ত পড়লে যে তথ্যগুলো আপনার কাছে স্পষ্ট হবে ১। শরীর মন আত্মা কি ? তাদের অস্তিত্বের সূচনা । ২। শরীর-মন-আত্মা কি কি ভাবে একটার থেকে আর একটা আলাদা ? ৩। শরীর – মন- আত্মা সম্পর্কিত জ্ঞান লাভের প্রয়জনিয়তা এবং উপকারিতা পরিবেশ , সময় এবং সামাজিক নানান প্রথার শর্ত মেনে কোন এক শুভ ক্ষণে আপনার, আমার এবং অন্য সকলের জন্মের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়েছিল এই পৃথিবীতে । ডিম্বাণু নিষিক্ত হওয়ার ৪০ দিনের মাথায় আত্মা এসে যখন শরীরে প্রবেশ করেছিল, তখনই শুরু হয়েছিল হৃৎপিণ্ডের ডুব-ডাব শব্দ । প্রথমবারের মত টের পেয়েছিলাম আত্মা আর শরীরের অস্তিত্ব। এর পরে পৃথিবীতে এসে কান্নার মাধ্যমে দেখা পেয়েছিলাম মনের । অর্থাৎ পৃথিবীতে আসার সিরিয়াল ছিল আত্মা – শরীর – মন । দুনিয়াক থেকে বিদায় নেয়ার সময়ও সিরিয়াল হবে আত্মা-শরীর-মন। তবে স্বভাবতই পৃথিবী...
Comments
Post a Comment