"You'll never know a thing without learning it from someone else." ----- Unknown যে কোন প্রকার সমস্যা অথবা ফাঁদ থেকে বের হয়ে আসার উপাই হচ্ছে সেই ফাঁদটিকে বিশ্লেষণ করা, জানা এবং বোঝা। ভেতর এবং বাইরে থেকে যে কোন সমস্যার কারন ধরতে পারলে, এর থেকে বের হওয়া সহজ হয়। মাদক যেহেতু শরীর, মন, আত্মাকে একই সাথে আক্রমণ করে এবং অন্ধকারের কালো চাদরে আচ্ছন্ন করে রাখে। তাই নেশার অন্ধকার থেকে মুক্ত হতে একটি আত্মিক বা আধ্যাত্মিক আলোর দরকার পড়ে। মাদকের কবল থেকে সাময়িক মুক্তি যে কোন ভাবে সম্ভব তবে স্থায়ীভাবে মুক্ত হতে হলে আত্মার বা আধ্যাত্মিকতার পথের কোন বিকল্প নাই। কারন আধ্যাত্মিকতার পথ হচ্ছে - আলোর পথ, চীরতরে নেশার জগতকে বিদায় জানানোর পথ, সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘজীবনের পথ। এখানে নেশার ফাঁদ থেকে মুক্তি পাওয়ার কিছু আধ্যাত্মিক চিকিৎসার কথা বলবো, যেগুলো প্রয়োগ করে ইতিহাসে হাজার হাজার মানুষ মুক্তি পেয়েছে এবং আমি নিজে নেশার কবল থেকে মুক্ত হতে পেরেছি; আশাকরি আপনিও পারবেন । বরাবরের মত এবারও আমরা একটা সমস্যাকে সমাধানের জন্য তিন দিক থেকে আক্রমণ করবো – শরীর মন এবং আত্মা
আত্মা কি? আত্মার কাজ কি? আত্মাকে অস্বীকার করে কি বেঁচে থাকা যায়? শরীরের যে অংশে স্বপ্ন এবং ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে তথ্য নিয়ে আসে তাকেই আত্মা বলে। আত্মার কাজই হচ্ছে যা কিছু অদৃশ্য আছে তাকে দৃশ্যমান জগতে নিয়ে আসা এবং ভারসাম্য রক্ষা করতে সাহায্য করা। পৃথিবীতে নতুন জ্ঞান যুক্ত করা এবং পুরানো জ্ঞানের জঞ্জাল মুক্ত করার কাজ করে আত্মা। পৃথিবীতে ভারসাম্য সৃষ্টিতে দিনরাত অবিরাম কাজ করে যায় আত্মা। শরীর মন এক সময় বিশ্রাম নেয়, ঘুমিয়ে পড়ে । আত্মা ঘুমায় না , বরং শরীর ঘুমিয়ে পড়লে আত্মা শরীর ছেড়ে বাইরে বের হয়ে আসে। তার কাজের পরিধি শরীর ছাড়িয়ে পৃথিবীময় বিস্তৃত।
মাদকের ক্ষয়ক্ষতিঃ মাদক মানুষের যেসব ক্ষতি করে সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় ক্ষতি হচ্ছে, নিজেকেই নিজের শত্রু হিসেবে দাঁড় করিয়ে দেয়। শরীর মন আত্মার মধ্যে দূরত্বের সৃষ্টি করে দেয়। তাদের চিন্তা , কথা, কাজের মধ্যে কোন মিল থাকে না। নিজেকে ভুলে যায়, নিজের যত্ন নিতে ভুলে যায়। জীবিত থাকতে থাকতেই দ্রুত আজ্রাইলকে ডেকে নিয়ে চলে আসে। ছবি:১ দেখুন কত দ্রুত নেশা মানুষকে চুষে নিঃশেষ করে দেয়।
Comments
Post a Comment