Posts

Showing posts from June, 2019

নেশার ফাঁদ থেকে মুক্তির আধ্যাত্মিক চিকিৎসা

Image
"You'll never know a thing without learning it from someone else." ----- Unknown  যে কোন প্রকার সমস্যা অথবা ফাঁদ থেকে বের হয়ে আসার উপাই হচ্ছে সেই ফাঁদটিকে বিশ্লেষণ করা, জানা এবং  বোঝা। ভেতর এবং বাইরে থেকে যে কোন সমস্যার কারন ধরতে পারলে, এর থেকে বের হওয়া সহজ হয়। মাদক যেহেতু শরীর, মন,  আত্মাকে একই সাথে আক্রমণ করে এবং অন্ধকারের  কালো চাদরে আচ্ছন্ন করে রাখে।  তাই নেশার অন্ধকার  থেকে   মুক্ত হতে   একটি আত্মিক বা আধ্যাত্মিক আলোর  দরকার পড়ে। মাদকের কবল থেকে সাময়িক মুক্তি যে কোন ভাবে সম্ভব তবে     স্থায়ীভাবে  মুক্ত হতে হলে  আত্মার বা আধ্যাত্মিকতার পথের কোন বিকল্প নাই।  কারন আধ্যাত্মিকতার  পথ হচ্ছে -  আলোর পথ, চীরতরে নেশার জগতকে বিদায় জানানোর পথ,  সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘজীবনের পথ।  এখানে নেশার ফাঁদ থেকে মুক্তি পাওয়ার কিছু আধ্যাত্মিক চিকিৎসার কথা বলবো, যেগুলো   প্রয়োগ করে ইতিহাসে হাজার হাজার মানুষ মুক্তি পেয়েছে এবং আমি নিজে  নেশার কবল থেকে মুক্ত হতে পেরেছি;  আশাকরি আপনিও পারবেন । বরাবরের মত এবারও আমরা একটা সমস্যাকে সমাধানের জন্য তিন দিক থেকে আক্রমণ করবো  –  শরীর মন এবং আত্মা

মাদক, ড্রাগ, নেশা- সর্বনাশা

Image
মাদকের ক্ষয়ক্ষতিঃ  মাদক মানুষের যেসব ক্ষতি করে সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় ক্ষতি হচ্ছে,   নিজেকেই নিজের শত্রু হিসেবে দাঁড় করিয়ে দেয়। শরীর মন আত্মার মধ্যে দূরত্বের সৃষ্টি করে দেয়। তাদের চিন্তা  , কথা,  কাজের মধ্যে কোন মিল থাকে না। নিজেকে ভুলে যায়, নিজের যত্ন নিতে ভুলে যায়। জীবিত থাকতে থাকতেই দ্রুত আজ্রাইলকে ডেকে নিয়ে চলে আসে।   ছবি:১  দেখুন কত দ্রুত নেশা মানুষকে চুষে নিঃশেষ করে দেয়।

মাদকের নেশা - কি খায়, কেন খায়?

আলোচ্য বিষয়টি পাঠ করার পর জানতে পারবেন ২। কেন মানুষ নেশা দ্রব্যের প্রতি আকৃষ্ট হয় ৩। নেশা দ্রব্যের সাথে প্রেমভালবাসার সম্পর্ক মানুষের শরীর যেমন শত শত মৌলিক এবং যৌগিক  রাসায়নিক পদার্থের সমন্বয়ে  গঠিত। তেমনি সিগারেট   , মদ   , ফেন্সিডিল , হেরোইন   , ইয়াবা ইত্যাদি সব মাদকদ্রব্যগুলোও রাসায়নিক পদার্থের সমন্বয়ে গঠিত। দেহের রাসায়নিক পদার্থের সাথে যখন মাদকের রাসায়নিক দ্রব্যের  বিক্রিয়া হয় তখন দেহের নাজুক কোষগুলো মরে যায়, কিছু আধামরা হয়ে যায় । কোষের ভেতরে এই ধ্বংস যজ্ঞ হয়  তখন আমাদের ব্রেনের ভেতর সবকিছু ঘোলাটে হয়ে যায়  , বাড়ী ধ্বসে পড়লে যেমন চারপাশ  ধুলোর ঢেকে যায় তেমনি মাথার মধ্যেও এইরকম ধোঁয়াশা তৈরি হয়, চিন্তা এবং চেতনা আবছা হয়ে যায়, এই অবস্থাকেই মাতাল অবস্থা বলে । মানুষ এই অবস্থাকে নাম দেয় ফিলিংস। মাতলামো বা ফিলিংস করার বিষয়টা অনেকটা এইরকম- আপনার ঘরে আগুন লেগেছে সবকিছু পুড়ে ছায় হয়ে যাচ্ছে  , ধোঁয়ায় চারপাশ অন্ধকার হয়ে যাচ্ছে আর আপনি কিছু দেখতে পাচ্ছেন না বলে মজা পাচ্ছেন  , পোড়া গন্ধ নাকে আসছে বলে আপনার খুব হাঁসি পাচ্ছে! মাদক শুধু আপনার ঘরেই আগুন দেয় না  ,   এই উচ্চ ক্ষমতা সম্

ডায়াবেটিকস, একটি আধ্যাত্মিক পর্যালোচনা

ডায়াবেটিকস, একটি  আধ্যাত্মিক পর্যালোচনা ' আপন হতে বাহির হয়ে বাইরে দাঁড়া , বুকের মাঝে   বিশ্বলোকের পাবি সাড়া ' --------------- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ডায়াবেটিক এর সাথে বসবাস করা কঠিন কাজ। প্রথম যখন আপনার ডায়াবেটিকস ধরা পড়ে, তখনকার কথা মনে আছে। নিয়ম করে   ঔষধ খাওয়া, মিষ্টি জাতীয় খাবার খেয়ে ফেলা, হাঁটাতে আলসেমি করা ইত্যাদি সবকিছু অনেক কঠিন বলে মনে হয়েছিল। কিন্তু একটা সময় পর এইসব কঠিন কাজগুলোই জীবনের অংশ হয়ে গেছে । এখন আর ডাক্তারকে বলা লাগে না,   কি করতে হবে;   আর কি করা যাবে   না।   নিজের শরীরটাই বিভিন্ন ভাবে বুঝিয়ে দেয় নিয়ম মেনে চলবা তো ভাল থাকবা, পরিশ্রম করবা তো সুস্থ থাকবা। নিয়ম মেনে ভাল থাকো   নইলে দরজার কাছে কঠিন কঠিন সব রোগগুলো তোমার শরীরে বাসা বাধার জন্য অপেক্ষা করছে।   এখন তুমিই বেছে নাও  , শৃঙ্খলা মেনে সুস্থ সবল ভাবে বেঁচে থাকবা, নাকি আলসেমিতে গা ভাসিয়ে দিয়ে ধুঁকে ধুঁকে মারা যাবা। সচেতন মানুষ কঠিন শৃঙ্খলার পথটাই বেছে নেয়  , বেঁচে থাকার জন্য, শান্তিতে থাকার জন্য। বেঁচে থাকার মত সুখ তো আর কোন কিছুতে নাই। মরে গেলেই তো সব শেষ । মরার চেয়ে আরও বেশি ভারি, অন্ধ  –  অক্ষ

কেন ডায়াবেটিকস মহামারীর রুপ নিল

কেন ডায়াবেটিকস হয়? কেন এখন প্রতিটি বাড়ীতে ডায়াবেটিকস রোগী দেখতে পাওয়া যায়? মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া এই রোগটি মানব সভ্যতাকে কি বার্তা দিতে চাচ্ছে?   এখন সারা পৃথিবীতে প্রতি ১১ জনে ১ জন ডায়াবেটিকস এ আক্রান্ত । খুব কম বাড়ী খুঁজে পাওয়া যাবে যে বাড়ীতে একজন ডায়াবেটিকস রোগী নাই। মনে প্রশ্ন জাগে হটাৎ করে কেন   ডায়াবেটিকস সারা পৃথিবীতে মহামারির আকার ধারন   করলো? একটু পর্যবেক্ষণ করলেই দেখবেন  , পৃথিবীর ইতিহাসে মানুষ এত আরাম আয়েশ কখনই উপভোগ করেনি। এখন একটা   সুইচ চাপ দিলেই মুহূর্তে হাতের নাগালে সব কিছু চলে আসে। ঠাণ্ডা চাইলে ঠাণ্ডা গরম চাইলে গরম, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাতাস ইচ্ছেমত পাওয়া যায়। অন্ধকার ঘর মুহূর্তে ঝলমলে আলোকিত হয়ে যায়।   আগের যুগের ১ বছরের পথ,   এখন ১ দিনে   অতিক্রম করা যায়।

ডায়াবেটিকস হওয়ার উপকারিতা

Image
“Just open your eyes and remove the sadness. There is a blessing in everything, waiting to be set free by your faith.” --- Unknown   ডায়াবেটিকস নামটা শুনলেই অজানা এক আতংক মনকে আচ্ছন্ন করে । কিন্তু আমরা জানি পৃথিবীর কোন কিছুই সম্পূর্ণ ক্ষতিকর কিংবা সম্পূর্ণ উপকারি নয়। সবকিছুর ভেতরেই ভাল এবং মন্দ ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকে। আমরা সাধারন ভাবে সেই বিষয়গুলোই গ্রহন করি যেগুলোর ভাল দিক গুলো বেশি । এবং সেই বিষয় গুলো এড়িয়ে চলি যেগুলোর মন্দ দিক  বেশি। ডায়াবেটিকস এরও ভাল এবং মন্দ দিক আছে । যদিও  ডায়াবেটিকসকে কেউ নিমন্ত্রন করে নিয়ে আসে না  , ডায়াবেটিকস চলে আসে জিনগত বৈশিষ্ট্য এবং জীবন-যাপনের ভুল পদ্ধতির কারনে । তাই ডায়াবেটিকসে একবার আক্রান্ত হয়ে গেলে একে সহ্য করে নিতে হয়  , একে মোকাবেলার জ্ঞান অর্জন করতে হয়, আমৃত্যু এর সাথে বসবাস করতে হয়! তাই ডায়াবেটিকস এর উপকারিতাগুলোকে খুঁজে বের করতে পারলে  , এর সাথে জীবনযাপন করা অনেক সহজ হয়। আমরা এখানে ডায়াবেটিকস এর উপকারি দিকগুলো খুঁজে বেরকরার চেষ্টা করেছি। আশা করি  এই তথ্যগুলো জানার পর ডায়াবেটিকস এর সাথে বসবাস করা অনেক সহজ হয়ে যাবে।