ধর্ষণের শীর্ষ ১০ আনুমানিক কারন


যে কোন সমস্যা সমাধান করার প্রথম এবং প্রধান শর্ত সমস্যার মূল বা শেকড় বা আসল কারন খুঁজে বের করা। কোন একটা সমস্যা এক বা আকাধিক কারনে তৈরি হতে পারে , তবে কারন যতগুলোই হোক । আমাদের প্রথম কর্তব্য হবে সমস্যার সম্ভাব্য সব কারন খুঁজে বের করা এবং সেই অনুযায়ী সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা নেয়া। ইদানীং বেড়ে যাওয়া ধর্ষণ সমস্যার আনুমানিক শীর্ষ ১০ কারন নিয়ে আমরা আলোচনা করবো। ধর্ষণের প্রকৃত কারন নির্ণয়ের  জন্য সমাজবিজ্ঞানীদের উপরই ছেড়ে দেয়া হোক। 


১। অন্ধভাবে সেলিব্রিটি এবং নেতাদের অনুসরনঃ
আমরা সাধারন মানুষ লিডার এবং সেলিব্রিতিদের অনুসর এবং অনুকরন করতে ভালবাসি।  ক্ষমতা, চাকচিক্য, টাকা, জনপ্রিয়তা ,   সফলতা ইত্যাদি নানান কারনেই তাদের প্রতি আমাদের এই ভালবাসাপোকা-মাকড়ের মত,  মানুষও আলোক বর্তিকার দিকে আকৃষ্ট হবে এইটাই স্বাভাবিক। ইদানিং  নেতা এবং সেলিব্রিটিদের  ; পরনারী – পর পুরুষের প্রতি আকর্ষণ , ডিভোর্স,   ধর্ষণ , অশ্লীল ভিডিও ফাঁস ইত্যাদি নানান যৌনকেলেঙ্কারির কথা  খুব বেশি শোনা যায়। এছাড়াও তাদের  সঙ্গী বা সঙ্গিনী বদলানোর বিষয়গুলো খুব ফলাও করে প্রচার করা হয় মিডিয়াই। একবার চিন্তা করে দেখুন লক্ষ লক্ষ সাধারন মানুষ যাদের সফল বলে মনে করে, যাদের মত জীবন যাপন করার স্বপ্ন দেখে তারা যখন যৌনকেলেঙ্কারির মত বিষয়গুলোতে জড়িয়ে পড়ে, তখন সাধারন মানুষ সেগুলোর অনুসরন করতে চায় এবং ধর্ষণের মত চরম অন্যায় কাজ করে ফেলে। 





২। বিচারের কচ্ছপ গতিঃ  
প্রতিটি মানুষের মধ্যে একটি করে জানোয়ার বসবাস করে। এই জানোয়ার  পুরস্কার এবং শাস্তির   ভাষা খুব ভাল বোঝে। যে কোন কাজ করার আগে মানুষ পরিমাপ  করে দেখে,  আমি যে কাজটি  করতে যাচ্ছি তার পুরস্কার কতটুকু আর ধরা খেলে শাস্তি কতটুকু । যখন সে দেখে ১০ টি কেসের মধ্যে ৯ টি কেসে সমাধান হতে দেরি হচ্ছে কিংবা সম্পূর্ণ পার পেয়ে যাচ্ছেঅথবা যে কোন ভাবে দফারফা করা যাচ্ছে;  তখন সে মন্দ কাজ করতে উৎসাহিত হয় এমনকি খারাপ  কাজটি করার জন্য ভেতর থেকে প্রেরণাও অনুভব করে। বিচার ব্যবস্থার কচ্ছপ গতির কারনে এইটা হয়। ধর্ষণের জন্য শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যে কোন মুসলিম দেশ নাই! আবার মুসলিম দেশের মধ্যে সৌদি আরবে সবচেয়ে কম মেয়ে ধর্ষিত হয়। কারন সেখেন প্রকাশ্যে দিবালোকে ধর্ষণের শাস্তি দ্রুততার সাথে কার্যকর করা হয় ধর্ষকের ভেতরের জানোয়ার একবার  খারাপ কাজের স্বাদ পেলে,  সে আরও নিত্যনতুন খারাপ কাজের  প্রতি আকর্ষিত হয়। প্রতিবার সে নতুন পন্থা অবলম্বন করে খাবার  জোগাড় করেঅথবা অন্য জানোয়ারের সাথে যুক্ত হয় খাবার জোগাড় করতেদলবদ্ধভাবে রেপ করার অন্যতম কারন এইটাবিচার ব্যবস্থায় গতি নিয়ে আসলে, ধর্ষণ সমস্যা দ্রুত কমে আসবে। 


৩। ধর্ষণ রোধে মেয়েদের দায়-দায়িত্বঃ
 মানুষ সমাজ বদ্ধ জীব , সমাজে সবাই মিলে মিশে  একসঙ্গে বসবাস করি উদাহরন হিসেবে ভাতের কথা বলা যায়। বাংলাদেশের ৮০ ভাগ মানুষ ধান-চাল-ভাত তৈরির প্রক্রিয়ার মধ্যে জড়িত থাকি না । কিন্তু ঠিকই প্রতিদিন  আপনার সামনে  ভাতের  প্লেট চলে আসে। আপনি কি জানেন এই ভাতের প্লেটের সাথে  কমপক্ষে ৫০ জন মানুষের রক্ত , ঘাম , পরিশ্রম লেগে আছে।  ধানের বীজ  লাগানো থেকে শুরু করে, ধান গাছের পরিচর্যা ,  ধান কাটা, ধান মাড়াই , ধানের রক্ষণাবেক্ষণ, গুদামজাত করন, চাল তৈরি, সারাদেশে চালের সরবরাহ, বাড়ীতে চালের যোগান, চাল থেকে ভাত তৈরি, ভাত আপনার টেবিলে সরবরাহ প্রতিটি স্তরে এক বা একাধিক মানুষের পরিশ্রম, স্বপ্ন, ত্যাগ জড়িত হয়ে আছে। এইরকম ভাবে আপনার শরীরের পোশাক, পায়ের জুতো, হাতের মোবাইল, বাসস্থানের বাড়ী, সবকিছুর সাথে হাজার হাজার মানুষের পরিশ্রম যুক্ত হয়ে আছে।  সুতরাং বুঝতেই পারছেন আমরা একজন আর একজনের উপর কতরকম ভাবে নির্ভরশীল।
  
সমাজের যে কোন সমস্যাকে নিজের সমস্যা বলে মনে করতে হবে। কারন সমস্যা তৈরি অথবা সমস্যা সমাধানে আপনার আমার আমাদের সকলের প্রতাক্ষ এবং প্ররোক্ষ ভাবে কোন না কোন অবদান  আছে। তাই যে কোন সমস্যায়    ছেলে মেয়ে উভয়কেই এর দায়-দায়িত্ব নিতে হবে। নিজ নিজ  অবস্থান থেকে ধর্ষণ সমস্যার  সমাধানের  জন্য কাজ করতে হবে। যেসব কাজে ধর্ষণের সমস্যাকে বাড়িয়ে দেয়ার সম্ভাবনা থাকে ,  সেইসব কাজ এড়িয়ে চলতে হবে। নিঃসন্দেহে মেয়েদের  ছোট পোশাক পুরুষের যৌন তাড়নাকে বাড়িয়ে দেয় বা শালীন পোশাক পুরুষের যৌন তাড়নাকে কমিয়ে দেয়। নারী এবং পুরুষ , ছেলে এবং মেয়ে   প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল হতে হবে। প্রত্যেকে বুঝতে হবে আমি সমস্যার পালে নাকি সমাধানের পালে হাওয়া লাগাচ্ছি।




তেতুল থিউরিকে যতই হাস্যকরভাবে উড়িয়ে দেয়া হোক না কেন, এর বাস্তব প্রভাব যে সত্য তা কিন্তু কেউ অস্বীকার করতে পারি না। মেয়েদের পোশাক ছেলেদের মনের মধ্যে কামনা তৈরি করে এইটা কোন পুরুষ অস্বীকার করতে পারবে না যেমন কাউকে সিগারেট পান করতে দেখতে সিগারেট পানের ইচ্ছা তীব্রতর হয়। ঠিক তেমনি একটি ছেলেকে একটি মেয়ের হাত ধরে ঘুরতে দেখলে, পার্কে , রেস্টুরেন্টে প্রেম করতে দেখলে অন্য একটি ছেলের মনে প্রেম –ভালবাসা- ধর্ষণের ইচ্ছা তীব্রতর হয়!  ঠিক যে কারনে সিগারেটের বিজ্ঞাপন বন্ধ করা হয়েছে, ঠিক সেই কারনে তথাকথিত  প্রেম- ভালবাসা – ধর্ষণের পথগুলোও বন্ধ করা উচিৎ।


৪। প্রেম, ভালবাসা এবং ধর্ষণঃ
ছেলে এবং মেয়ের তথাকথিত বন্ধুত্ব। সিনেমা নাটকের আদলে ছেলে মেয়ের বন্ধুত্ব নিশ্চিতভাবে ধর্ষণ সমস্যার পালে হাওয়া দিচ্ছে। উঠতি বয়সের মেয়েরা  কোন বাছাবিচার না করেই ছেলেদের বিশ্বাস করছে। ফলে মেয়েরা ছেলে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে দূরে , মেসে, ফাকা বাড়ীতে , জংগলে চলে যাচ্ছে আর ছেলেরা  সুযোগ বুঝে মেয়েদের উপর চড়াও হচ্ছে। এতে ছেলে এবং মেয়ে উভয়ই  শারীরিক এবং মানসিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। ছেলে –মেয়ের এইসব আহত আবেগগুলো পরবর্তীতে সংসারে অশান্তির কারন হয়ে দেখা দিচ্ছে, সংসারে ভাঙ্গন, ডিভোর্স এখন প্রেমের মতই ডালভাত হয়ে যাচ্ছে। আর সম্পর্কের এইসব অপূরণীয় ক্ষয়ক্ষতি অনাগত ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আরও বেশি  অন্ধকারে ঠেলে দিচ্ছে। 



৫। ডিভোর্স বা বিবাহ বিচ্ছেদঃ 
ডিভোর্সি, বিধবা ,এতিম অর্থাৎ অভিভাবকহীন অথবা দুর্বল অভিভাবকযুক্ত  মেয়েদের  সামাজিক নিরাপত্তা কম থাকে। ধর্ষকরা এইসব দুর্বলতার ফাঁকফোকর দিয়ে তার শিকার খুঁজে বের করার চেষ্টা করে। ধর্ষণ বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারন ডিভোর্স, পরিসংখ্যান বলছে ডিভোর্সের ৭৫% আবেদেন করে মেয়েরা অর্থাৎ নিজের অজান্তে মেয়েরাই ধর্ষণ সমস্যায় ঘি ঢালছে।   সময় এসেছে ধর্ষণ  সমস্যায় ছেলে এবং মেয়েরা প্রতাক্ষ এবং পরোক্ষ ভাবে , কত উপায়ে  ইন্ধন যোগাচ্ছে তা খুঁজে বের করা। এ অনুসন্ধানে সমাজবিজ্ঞানি এবং সমাজের হর্তাকর্তাদের কৃপা দৃষ্টি কামনা করছি।  খারাপ মানুষ তারা তো খারাপ হয়েই গেছে , কিন্তু যারা ভাল মানুষ তারা যেন খারাপ   না হয়ে যায় সেইদিকে সবার মনোযোগ দিতে হবে। 



৬। কর্মক্ষেত্রে  মেয়েদের আধিক্যঃ 
মেয়েরা কর্মক্ষেত্রে বেশি বেশি যোগদান মানে ছেলেদের কর্মক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা বেড়ে যাওয়া অথবা  সংকুচিত হয়ে যাওয়া! এইটা কোন সমস্যা হত না, যদি ছেলেদের মত মেয়েরা বেকার ছেলের দায়িত্ব গ্রহন করতো। কিন্তু একটা ছেলে যতটা উদার ভাবে একটি মেয়ের সকল দায়-দায়িত্ব গ্রহন করতে পারে , মেয়েরা ততটা উদার হতে পারে না এবং বর্তমানেও পারছে না। হয়তো প্রকৃতিগত কারনেই পারছে না। কিন্তু সমাজের যা ক্ষতি হবার হয়ে চলেছে। কর্মক্ষেত্র সংকুচিত হয়ে পড়ছে, ছেলেরা কর্মক্ষেত্র হারাচ্ছে, তাদের বিয়ের বয়স হু হু করে বেড়ে চলেছে। ফলাফল ছেলেরা তাদের মৌলিক চাহিদা পুরনের জন্যই অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে! এছাড়া যৌন তাড়না , যৌন ক্ষুধা নিবারনের জন্য অবৈধ, অরক্ষিত যৌন সম্পর্কে  লিপ্ত হয়ে পড়ছে। সমাজে পতিতার সংখ্যা, পরকীয়ার সংখ্যা, প্রেমের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে অন্যদিকে বৈধ বিয়ের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। ফলাফল অপরাধ প্রবনতা বৃদ্ধি , বেকার সমস্যা বৃদ্ধি, যৌন রোগ এবং ধর্ষকের মত যৌন বিকারগ্রস্থ রুগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।


পর্ণ ছবি এবং মাদক দ্রব্যের ব্যবহারঃ
 মাদক নিঃসন্দেহে মানুষের বিচার-বিবেচনার উপর প্রভাবে ফেলে। মাদক যৌন উন্মাদনা বাড়িয়ে দেয়, মানুষের হিতাহিত জ্ঞান লোপ পায়। সুস্থভাবে চিন্তা করতে দেয় না। নইলে বাংলাদেশের ইতিহাসে যা হয়নি কিছুদিন আগেই তা হয়ে গেলে। মাত্র ১৪ বছর বয়সের এক মাদকসেবী  কিশোর ধর্ষণ করলো  ১০০ বছরের বৃদ্ধাকে যৌন তাড়নায় কত বেশি উন্মাদ হলে একটা মানুষ এই কাজ করতে পারে? যৌন ইন্ধন মাদক, পর্ণ ছবি ইত্যাদি )  যখন সব একসাথে হয় তখন মানবিকতা এবং মনুষ্যত্বের কোন বাঁধ আর অবশিষ্ট থাকে না। তাই সবাইকেই বুঝতে হবে মাদকের ভয়বহতা সম্পর্কে। মাদক আপনি গ্রহন করছেন বলে আত্মতৃপ্ত হওয়ার কোন সুযোগ নাই। যখন দাবানল চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে তখন কনক্রিটের বাড়ীতে বসেথাকলেও কেউ রক্ষা পায় না। তেমনি মাদকের ভয়াবহ দাবানলকে নির্বাপিত করতে না পারলে, কোন মানুষকেই ছাড়বে না এই আগুন। 


 ৯বিয়ের বয়সঃ


 আমাদের দেশে গরম আবহাওয়ার কারনে, বয়ঃসন্ধিকাল  কিছুটা আগেই চলে আসে। অথাৎ  বিয়ে করা ইচ্ছা এবং প্রবনতা দুটোই চলে আসে ৯-১০ বছরের মধ্যেকিন্তু আমাদের দেশে বৈধ বিয়ের বয়স মেয়েদের জন্য ১৮ এবং ছেলেদের জন্য ২১ । বিয়ের ইচ্ছা মনে জাগ্রত হওয়ার পর  ১০-১২ বছরের সংযম পালন করা স্বাভাবিক ভাবেই অনেক কষ্টকর।  যদি ধর্মের পথে থাকে তো মোটামুটি নিজেকে সংযম করতে পারে কিন্তু যারা ধর্মের পথে থাকে না, তাদের জন্য সংযম পালন করা সত্যি কষ্টকর। এই উঠতি বয়সি কিশোর কিশোরীরা প্রায় সময় প্রেম এবং যৌনতা নিয়ে চিন্তা করে এবং নিজের অজান্তেই জড়িয়ে পড়ে। এক পরিসংখ্যানে দেখা  গেছে, ঢাকা শহরে উঠতি বয়সি ৭৫% ছেলেরা পর্ণ ছবিতে আসক্ত। এর ফলে বাড়ছে অবৈধ সম্পর্ক,  ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভপাত, শিশুমৃত্যু , ইভটিজিং ,  ধর্ষণ ইত্যাদি সব ঘটনা। দ্রুত বিয়ে দিলে যৌন তাড়নায় তারা পাগল হয় না, নিজেকে সংযত করতে শিখে এবং নিজেক কাজ অর্থাৎ পড়ালেখাতে মনোযোগী হতে পারে। 
যেখানে চাহিদা তৈরি হয় সেখানেই ব্যবসা তৈরি হয়ে যায় মানুষের সবচেয়ে তীব্র  আদিমতম চাহিদা পুরনের জন্য  ইদানিং  তৈরি হচ্ছে ডেটিং এর উপযোগী রেস্টুরেন্ট , বিনোদন পার্ক , হোটেল সার্ভিস গুলো। যেখানে কম বয়সী মেয়েদের প্রতারনা করে, ফুসলিয়ে, লোভ দেখিয়ে ব্যবসা করাচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। বিয়ের বৈধ , সুস্থ , সুন্দর পথ যখন আইন বানিয়ে কঠিন করা হবে তখন এসব অবৈধ ব্যবসা তৈরি হবে। সারাধান মানুষ ধর্ষণের শিকার হবে।  


১০শিক্ষকের দায়ঃ
সঙ্গত কারনেই শিক্ষকের ছাত্রছাত্রীদের সাথে বেশি সময় কাটাতে হয়। একজন শিক্ষক শুধু শিক্ষাদান করারই শপথ গ্রহন করে না , সে তাদের অভিভাবকও বটে। কিন্তু একজন শিক্ষক যখন ধর্ষণ করার জন্য মন স্থির করে তখন সে ওজুহাত খুঁজে বেড়ায় টার্গেট মেয়ের সাথে কথা বলার জন্য। বেশির ভাগ সময় কোন বিষয় বুঝিয়ে দেবার জন্য, মার্ক বেশি দেয়ার জন্য, পরীক্ষায় পাশ করিয়ে দেয়ার জন্য ইত্যাদি ওজুহাতে বাড়ী ,চেম্বার অথবা নির্জন কোন স্থানে ডেকে নেয়।
এইসব লক্ষনগুলো যখন একজন শিক্ষকের মাঝে দেখা যাবে তখন ছাত্রছাত্রী, সহকর্মী শিক্ষক, স্কুলের হেডমাস্টার সকলকেই সাবধান হতে হবে।  


আমরা মুসলমান হওয়ার কারনে শয়তানের অস্তিত্বে আমাদের বিশ্বাস করা বাধ্যতামূলক । কিন্তু  মিডিয়া থেকে শুরু করে কোথায় শয়তানের কথা আলোচিত হয় না। অথচ শয়তান আমাদের রক্তে প্রবাহিত হতে পারে। ছেলে মেয়ে যখন এক জাইগাই হয় তখন সে উভয়কে প্ররোচিত করে

হাদিস ঃ রসূল (স.) বলেছেন, “একজন স্ত্রীলোকের সাথে একজন পুরুষ একাকী থাকলে বা নির্জনতা অবলম্বন করলে তাদের মধ্যে শয়তান তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে যোগ দেয়।” –আত্-তিরমিযী (হা/১১৭১; সহীহ, হুসাইন আল মাদানী প্রকাশনী)

শয়তানকে আলোচনায় নিয়ে আসতে হবে, শয়তান কি কি  কৌশলে আমাদের মন্দকাজে প্ররোচিত করে তা খুঁজে বের করতে হবে। শয়তান সম্পর্কে সচেতন না হলে , শয়তানের ফাঁদে আজ হোক কাল হোক আমাদের সকলকেই পড়তে হবে। কারন সে আল্লাহ্‌র কাছে শপথ করে এসেছে আমাদের প্রত্যেকে সে ছলে বলে কৌশলে জাহান্নামে নিয়ে যাবে। শয়তানের হাত থেকে বাঁচতে হলে, শয়তানের পাতা ফাঁদ সম্পর্কে জানুন।  নিজেকে এবং পরিবারের সব সদস্যকে রক্ষা করুন।   


Comments

Popular Post

নেশার ফাঁদ থেকে মুক্তির আধ্যাত্মিক চিকিৎসা

আত্মার ভেতর এবং বাইরের রহস্য

মাদক, ড্রাগ, নেশা- সর্বনাশা