যারা ধর্ষণ করে তারা অপরাধী। এই অপরাধের শাস্তি তাকে পেতে হবে। অন্য একটা মানুষের অধিকার হরনের কারনে তার এই শাস্তি! অন্য একটা নিরিহ মানুষের ইচ্ছা , চাওয়া , পাওয়াকে পিষে মারার জন্য তার শাস্তি । সমাজের, রাষ্ট্রের শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য তার শাস্তি! সুস্থ পারিবারিক বন্ধনের ভিত্তিমূলে আঘাত করার জন্য তাকে শাস্তি পেতেই হবে। পুরুষবাদি , নারিবাদি, দল, মত , ধর্ম, প্রগতিশীল , মুক্তমনা কোন মতবাদের আড়ালে যেন ধর্ষক আশ্রয় প্রশ্রয় না পায়, সেইদিকে সবার নজর দিতে হবে। আমাদের দ্বিধাবিভক্তির সুযোগে অপরাধী যেন কোনরূপ সুযোগ পেয়ে না যায়, সেইদিকে সবার সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। সবার কাছে আমার প্রশ্ন - সব বিষয়ে আমাদের দ্বিধাবিভক্ত হওয়ার, সত্যি কোন প্রয়োজন আছে কি? ধর্ষণ কোন একটি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ঘটে না। একটি ধর্ষণ সংঘটিত হওয়ার পেছনে অনেকগুলো অনুঘটক কাজ করে। ধর্ষকের শাস্তি দেয়ার পাশাপাশি , ধর্ষণের সেইসব অনুঘটক গুলোকে মেরামত করাও ধর্ষককে শাস্তি দেয়ার মতই জরুরী। আসুন খুঁজে দেখি কি কি উপায় অবলম্বন করলে , ধর্ষণের লাগামহীন প্রবণতাকে কমানো সম্ভব হবে।